১২ কেজির এলপিজির দাম কমলো ৫০ টাকা।

১২ কেজির এলপিজির দাম কমলো ৫০ টাকা।
ডন প্রতিবেদন : ১২ কেজির এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) দাম আরও ৫০ টাকা কমেছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে দেশে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৮ টাকা। এর আগে এই সিলিন্ডারের দাম ছিলো ১ হাজার ২২৮ টাকা। এ ছাড়া নতুন দামেরসঙ্গে সঙ্গতি রেখে এলপিজির অন্যান্য পরিমাণের দামও একই অনুপাতে কমবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানায়, মোটরগাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দামও বর্তমানে প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ২৪ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫৪ টাকা ৯৫ পয়সা করা হয়েছে। বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সৌদি চুক্তি মূল্যের বাল্ক এলপিজি (সিপি) কমে যাওয়ায় খুচরা এলপিজির দাম কমেছে।’ এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘সৌদি সিপির দাম আগের দাম প্রতি মেট্রিক টন ৭৬৫ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৪২০ মার্কিন ডলার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারদরেরসঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিইআরসি নির্ধারিত মূল্যে পণ্যের বিক্রয় নিশ্চিত করতে রিটেল এলপিজি আউটলেটে একটি ইলেকট্রনিক ড্যাশবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেবে কমিশন।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রাইভেট কোম্পানি সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাঁদের বাল্ক এলপিজি আমদানি করে এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করে। শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, সৌদি সিপি সাধারণত প্রতি মাসের শেষে ঘোষণা করা হয়, যাতে পরবর্তী মাসের জন্য এটি কার্যকর হয় এবং দেশে জ্বালানির চালান আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিলো বিইআরসি। তারপর থেকে প্রতিমাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতিমাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।