র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনায় ব্লিঙ্কেনকে পাঠানো চিঠি নিয়ে যা বললেন মোমেন।

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনায় ব্লিঙ্কেনকে পাঠানো চিঠি নিয়ে যা বললেন মোমেন।
ডন প্রতিবেদক, সিলেট : ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও সংস্থার সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লেখা চিঠিটি দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা অনেক পুরাতন। বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্য। এগুলো আমাদের রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি।’ রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে নগরীর কুমারপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জমজমের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর আগে ব্লিঙ্কেনেরসঙ্গে আমার ফোনালাপ হয়েছে। তখন যে কথা হয়েছিলো, সেগুলোই চিঠিতে লিখেছি। তিনি (ব্লিঙ্কেন) আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে তাঁর (যুক্তরাষ্ট্র) সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।’ এই উদ্বেগের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমাদের এখানে গণতন্ত্র চর্চা আজকের না। যখন আমেরিকা আবিষ্কৃত হয় নি, সেই ছয় শতকেও এই অঞ্চলে গণতন্ত্র ছিলো।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘র‌্যাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযোগ, তা অমূলক। বাংলাদেশে দশ বছরে ৬শ জন নিখোঁজের অভিযোগ তোলা হলেও আমেরিকাতে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে এবং পুলিশি কারণে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। তাদেরগুলোকে বলা হয় লাইন অব ডিউটি। অথচ আমাদের এখানকার সামান্য কিছু ঘটনা নিয়ে অনেক কথা হয়। বলা হয় এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং। এসব হাসির খোরাক। ফলে আমার মনে হয়, তাদের নিষেধাজ্ঞা সঠিক হয় নি। এটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে। চিঠিতে এ কথাই লিখেছি।’ র‌্যাব দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকরোধে সফলতা দেখিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিঠিতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসহ আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেরসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের সম্পর্ক। সবকিছুর আলোকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠির জবাব এখনও আসে নি জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা তো এখন ক্রিসমাসের ছুটিতে আছেন।