১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভায় ভোট সোমবার

১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভায় ভোট সোমবার
ডন প্রতিবেদন : সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রথম ধাপে স্থগিত হওয়া ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ষষ্ঠ ধাপে স্থগিত ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ওই ভোট চলবে। এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্বাচন হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। করোনাভারাসের মহামারির কারণে ইসি এসব নির্বাচন স্থগিত করেছিলো। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বাসসকে জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনি এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ভোট সামনে রেখে সব ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসি-এসপি-রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি এলাকায় টহল শুরু করেছেন। তাঁরা থাকবেন ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের জন্য রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশেষ নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি মালামাল পাঠানো হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদেরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৫ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৯৬৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৩ জন। এদিকে ৯ পৌরসভার মধ্যে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, নোয়াখালীর কবিরহাট ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে ৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এখন মেয়র পদের লড়ছেন ২৭ জন। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল দিবাগত রাত ১২টায়। এ সময়ের পর কোনও প্রার্থী বা সমর্থকের কেউ কোনও ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ি, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। এ ছাড়া নির্বাচনি আইন অনুয়ায়ী- কাল ‘ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টারমধ্যে নির্বাচনি এলাকায় কোনও ব্যক্তি জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা যোগদান করতে এবং কোনও মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না।’ ইসি সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো গত ১১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ১ এপ্রিল তা স্থগিত করা হয়। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন ১৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৫টি, মামলাজনিত কারণে ১টি এবং আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের কারণে ১টি ইউনিয়ন পরিষদে আপাতত ভোট হচ্ছে না। সেই হিসাবে খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এরমধ্যে ৯টি পৌরসভার সব ক’টিতেও এবং ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদেরমধ্যে ১১টিতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।