ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে : ধারণা এফবিআইয়ের

ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে : ধারণা এফবিআইয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ মাঠের কাছে গোলাগুলির পর দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এটাই মনে হচ্ছে যে—সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে সংস্থাটি।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে গুলির ঘটনাটি ঘটে। এরপর সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। তবে কেউ হতাহত হন নি। বিবৃতিতে এফবিআই বলেছে, ‘ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় গুলির ঘটনায় সাড়া দিয়েছে এফবিআই। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় মনে হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’

গুলির ঘটনার সময় ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় নিজের মালিকানাধীন ওই গলফ মাঠে খেলছিলেন ট্রাম্প। পরে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গলফ মাঠের কাছে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ছিলেন ওই বন্দুকধারী। ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঝোপের ভেতরে তাঁর বন্দুকের নল দেখতে পান। এরপর তাঁরা অন্তত চারটি গুলি চালান। তখন ওই ব্যক্তি বন্দুক ফেলে গাড়িতে করে পালিয়ে যান।

রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শী একজন ওই বন্দুকধারীর গাড়ি ও লাইসেন্স প্লেটের ছবি তুলে রাখেন। এরপর অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ওই গাড়ির তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে তথ্যের ভিত্তিতে পাশের মার্টিন এলাকায় গাড়িটি থামানো হয় এবং বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প। রবিবারের গুলির ঘটনার পর তাঁর প্রচার অঞ্চল থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প যেখানে অবস্থান করছিলেন, তাঁর কাছাকাছি গুলি চালানো হয়েছে। তিনি নিরাপদে আছেন।

গলফের মাঠে ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস বাহিনীর সদস্যরা। বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা বেরি ডোনাডিও সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, বন্দুকধারীর কাছে একে-৪৭ রাইফেল ছিলো বলে মনে করা হচ্ছে। এই বন্দুকের গুলি বেশ শক্তিশালী। বন্দুকটি দিয়ে ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা যায়।

এর আগে গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হয়েছিলো। সে সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। গুলিতে কানে আঘাত পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে বড় সমালোচনা দেখা দিয়েছিলো। এর জেরে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো বাহিনীর প্রধানকে। এ ছাড়া অন্তত পাঁচজন সদস্যকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিলো।

এদিকে গুলির ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নিরাপদে আছেন জেনে আমি খুশি। আমেরিকায় সহিংসতার কোনও স্থান নেই।’