ডন প্রতিবেদক, হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এমপিপুত্র ও সাংবাদিকসহ দলটির ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গেজেটভুক্ত এক রাজাকার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার (১৩ মার্চ) রাতে ধুনট সদর ইউনিয়নের পাকুড়িহাটা গ্রামের গোলাই মিয়ার ছেলে গেজেটভুক্ত রাজাকার গাজি মিয়া বাদি হয়ে ধুনট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে গাজি মিয়া নিজেকে ধুনট সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমানের ছেলে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম সোবাহান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলম, দপ্তর সম্পাদক আফসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি, ধুনট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বনি আমিন মিন্টু, ধুনট মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ও প্রভাষক জিয়াউল হকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীকে।
জানা গেছে, আসছে সম্মেলনকে ঘিরে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি টি আই এম নূরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনেরসঙ্গে স্থানীয় এমপি হাবিবর রহমানের অনুসারী নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ মার্চ ধুনট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করেন নূরুন্নবী তারিক ও আব্দুল হাই খোকন।
অপরদিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাটিকোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাল্টা সভা আহ্বান করেন সাংসদ গ্রুপের গোলাম সোবাহান ও মহসীন আলম। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় অবশ্য সাংসদ গ্রুপের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি বাদি হয়ে ধুনট আওয়ামী লীগের অপর অংশের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।’
‘অপরদিকে রাজাকার হয়েও কীভাবে আওয়ামী লীগের হয়ে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন, সেটি আমরা খতিয়ে দেখবো।’