৭ মার্চকে ভুলে গেলে ইতিহাস নাহিদ ইসলামকেও ভুলে যাবে : কালাম আঝাদ

৭ মার্চকে ভুলে গেলে ইতিহাস নাহিদ ইসলামকেও ভুলে যাবে : কালাম আঝাদ

সম্পাদকীয় মত, বাঙলার কাগজ : বিশ্বের নাকি প্রভাবশালী তরুণ বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম! ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক দলিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ মার্চের ভাষণের দিবসসহ বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট ৮টি দিবসকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বুধবার (১৬ অক্টোবর)। মানলাম ৭টি দিবসই বাতিল করা যায়, কিন্তু ৭ মার্চকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিই কি করে? দিবসগুলো বাতিলের দিন নাহিদ ইসলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চরম এবং অপমানজনক বিষোদগার করলেন। ৭ মার্চের মতো দিবসকেও তিনি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেন, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। বর্তমান অবস্থায় এক কথায় বলাই যায়, ৭ মার্চকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ যাঁরাই কাজ করেছেন, তাঁরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। উল্লেখ করা যায়, উপদেষ্টা হওয়ার আগে ড. ইউনূস কতবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। একটি কথাই বলবো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, অসাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কাজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতোই করবে, ততোই তা আওয়ামী লীগের পক্ষে যাবে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠন হবে। আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, বর্তমান আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। বঙ্গবন্ধু সবার এবং জাতির পিতা। কিন্তু তা মানতে নারাজ নাহিদ ইসলাম। তাহলে তিনি কি নিজেকেই জাতির পিতা ভাবতে শুরু করলেন! তাহলে শুনুন নাহিদ সাহেব, ৭ মার্চকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করলে আপনাদের চব্বিশের বীরত্বের অস্তিত্বও থাকবে না, আর আপনি তো অনেক দূরের ব্যাপার।

(ক্ষোভ থেকে বলি নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে এবং ভবিষ্যৎ সত্য বললাম, যা শেখ হাসিনার ব্যাপারেও বলেছিলাম, যখন তিনি ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে বাড়াবাড়ি করছিলেন)

কালাম আঝাদ, সম্পাদক; বাঙলার কাগজ, ইতালি।