নিরপরাধ কেউ মামলার আসামি হলে ভয়ের কারণ নেই : আইজিপি

নিরপরাধ কেউ মামলার আসামি হলে ভয়ের কারণ নেই : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, নিরপরাধ কেউ মামলার আসামি হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। মামলা হলে যে গ্রেপ্তারের আওতায় আসবে তা নয়। কেউ যদি সত্যিকার অর্থে জড়িত, তা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে। নিরীহ কাউকে যদি আসামি করা হয়, সেটা যাচাই-বাছাই হবে। সুতরাং এটা নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই।

শনিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল ওয়ারীশ ও উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) এস এম মোস্তাইন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

মামলার ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমরা আশ্বস্ত যে, মামলায় অনেক সাংবাদিকের নাম আছে। তেমনি অনেক পুলিশ সদস্যও আসামি হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক মহলের চেয়ে পুলিশের সদস্য অনেক বেশি। যারা সত্যিকার অর্থে ঘটনায় জড়িত, তাদের আসামি করলে মামলা শক্ত ও তদন্ত করা সহজ হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিজিবি, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের আসামি করা হয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি, থানায় মামলা রেকর্ড করার আগে যাচাই-বাছাই করে দেখে নেওয়ার জন্য। প্রতিটি মামলা বিশ্লেষণের জন্য আমরা পৃথক তদন্ত কমিটি করেছি।

আইজিপি বলেন, মব জাস্টিসের নামে কেউ অন্যায়-অবিচার করলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের প্রত্যেকটি হত্যার বিচার হবে। প্রতিটি ঘটনায় নিহত ও আহতদের বিচারের জন্য তদন্ত করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে আরেকটি অপরাধ হচ্ছে মব জাস্টিস। 

তিনি বলেন, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রামেও একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা অপরাধচক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করেছি।

পুলিশপ্রধান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ঘটনা ঘটিয়েছিলো, তাদের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের স্টেটমেন্ট নিয়েছি। আমরা একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই-মব জাস্টিসের নামে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। চট্টগ্রামের একটি ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের সংস্কারে সরকারের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, সেটার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুলিশ কমিশন। পুলিশ কমিশন তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। কমিশনের পাশাপাশি সংস্কারের জন্য পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে কমিটি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১১ দফা দেওয়া হয়েছিল, প্রতিটি দফা নিয়ে আলোচনা হবে। অতীতে পুলিশের কি কি ভুল হয়েছে, সেইগুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আমাদের পুলিশের প্রশিক্ষণে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

এর আগে আইজিপি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনসে সিএমপি ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম রেঞ্জের সকল পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।