ডন প্রতিবেদন : প্রাণের প্রিয় এই বাংলাদেশ থেকেই আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলছে। যেখানে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্বপ্নবাজ ২০ শিক্ষার্থী। এরইঅংশ হিসেবে একটানা ৫ বছর গবেষণার পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রকেট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই গবেষক দল।
তাঁদের স্বপ্ন, ২০৩৫ সালেরমধ্যে নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবেন।
এ ছাড়া ইলেকট্রিক বাইক ও বিমান তৈরিতেও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এই গবেষক দল।
এ ধরনের গবেষণার প্রথম চূড়ান্ত ধাপ শেষ করে ‘ধূমকেতু’ নামের ৪টি রকেট তৈরির পর সেগুলো উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতও করে ফেলেছেন তাঁরা। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা।
গবেষক দলটি জানায়, প্রাথমিকভাবে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করা গেলেও পরবর্তীতে স্যাটেলাইটসহ মহাকাশ গবেষণায় কাজে লাগানো যাবে এই রকেট। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন সম্ভব বলেই মনে করে গবেষক দলটি।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী নাহিয়ান আল রহমানের উদ্যোগে ২০ জনের আলফা সায়েন্স ল্যাব টিম চূড়ান্ত গবেষণা শেষে তৈরি করেছে ১শ কেজি ওজনের ৪টি রকেট। প্রাথমিকভাবে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে আবহাওয়ার তথ্য নিতে সক্ষম এই রকেট।
ধূমকেতু রকেট টিমের প্রধান নাহিয়ান আল রহমান বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, কোনও ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই নিজস্ব গবেষণায় রকেট আবিষ্কার করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। ফাউন্ডার অ্যান্ড টিম লিডার আরও বলেন, আমরা অনেক চড়াই-উৎরাই পার করেই এই অবস্থায় পৌঁছেছি।
এদিকে দেশে রকেট সায়েন্স নিয়ে কোনও বিভাগ না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের বাইরে থেকে গবেষণার তথ্য ও পাঠ্য উপকরণ সংগ্রহ দুরূহ ব্যাপার বলে জানান গবেষক দলের সদস্যরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মহাকাশ গবেষণার পাশাপাশি দেশের মাটিতেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সম্ভব বলেও মনে করেন তাঁরা।
গবেষক দলের ৩ সদস্য বলেন, আমাদের সাপোর্টের ঘাটতি ছিলো। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শুধু রকেট সায়েন্স না যে কোনও গবেষণায় বাংলাদেশে সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। এখন আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করার চিন্তাভাবনা করছি।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণার উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার আশ্বাস ময়মনসিংহ সিটি মেয়রের। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও সুদৃষ্টি আশা করেন তিনি।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু এটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।