ডন প্রতিবেদন : অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর নাম করে জাল ভিসা সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এরা হলো : সাইমুন ইসলাম (২৬) ও আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)। দুজনই একটি চক্রের সদস্য।
আগেরদিন বনশ্রী ও শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন জানিয়েছেন।
এদিন (রবিবার : ১২ সেপ্টেম্বর) সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত অস্ট্রেলিয়ান জাল ভিসা তৈরি করে বাংলাদেশের নিরীহ লোকজনকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।’
ভোক্তভোগী খায়রুল ইসলাম নামে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর গত জুলাই মাসে খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই সিআইডির কর্মকর্তা।
ইমাম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাদের হোতা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫) দেশে থাকার সময় নিজেকে ‘অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশনের কনস্যুলার জেনারেল’ হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অ্যাডভোকেট খায়রুলকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, খায়রুল তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে নিজেসহ তার পরিবারের আরও আটজনকে অস্ট্রেলিয়া নিতে রোজীর কথামতো ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা দুটি ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেন।
এই চক্রের প্রতারণার বিবরণ দিয়ে ইমাম বলেন, তারা বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় হাই কমিশনের নিযুক্ত ভিসা প্রসেসিং কোম্পানি ভিএফএস গ্লোবালের প্রতিনিধি হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূতাবাসের লোগোসহ ভিসাসংক্রান্ত সব কাগজপত্র তৈরি করে চক্রের হোতা রোজীকে ইমেইলে পাঠান। পরে রোজী এসব জাল কাগজপত্র ভুক্তভোগির ই-মেইলে পাঠান।
‘ভুক্তভোগি খায়রুল এইসব কাগজপত্র ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে জমা দিতে গেলে তারা জানায়, সকল কাগজপত্র জাল।’