স্বাস্থ্যমন্ত্রী : করোনা নিয়ন্ত্রণে বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে

ডন প্রতিবেদন : দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেশিওলজি) পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান এবং ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা এখন সারাবিশ্বে প্রসংশিত। করোনা নিয়ন্ত্রণ কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে সম্ভব হয় নি। এটা কাজের ফল, প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা এবং চিকিৎসক, নার্স ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ আজ ভালো আছে। ‘এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে, সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ দেশে অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট সঙ্কট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যানেস্থেশিওলজির নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়েরমধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আরও অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। আগামিতেও অ্যানেস্থেশিওলজিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে এই সঙ্কট আর থাকবে না। পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যানেস্থেশিওলজিস্টদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের যাকে যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের সব জেলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও সমস্যা থাকে আমরা আছি। আপনাদের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে। ডাক্তার, নার্সদের নিরাপত্তা বিষয় জাহিদ মালেক বলেন, অবশ্যই সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনেক স্থানে হতে পারে। সেটা কোনও উদাহরণ হতে পারে না। তবে আমরা যে বিষয়ে কাজ করি সেটা খুবই সেনসেটিভ। তিনি বলেন, আমরা করোনা ভ্যাকসিনেশনে ভালো করছি। এ বছরে আরও অনেক ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো। এ মাসে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আমাদের সমালোচনা থাকবে। সমালোচনাকে তোয়াক্কা করি নি। ‘সমালোচনার ফলে আমাদের গতি অনেক বেড়েছে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ বলেন, ৪০৯ জন নতুন অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের ইতিহাসে হয় নি। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ইতোমধ্যে আমার কাছে অনেক টেলিফোন এসেছে নিজেদের পছন্দমতো হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার জন্য। আমি তাঁদের বলতে চাই, অধিদপ্তর থেকে যাঁদের যে হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেখানেই কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও নাসিমা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং স্বাধিনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।