রাশমিকার আপত্তিকর ভিডিও তৈরি : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দক্ষিণি অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার আপত্তিকর একটি ভিডিও গত বছর ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। যদিও ওই ভিডিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি হয়েছিল, তা প্রমাণিত। এবার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে জানানো হয়, গত বছর ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী জারা প্যাটেলের শরীরে রাশমিকার মুখ বসিয়ে এমন ন্যক্কারজনক কাণ্ড করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। সামামাজিকমাধ্যমে ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এত অনেক অস্বস্তিতে পড়েন অভিনেত্রী।
মান্দান্নার ডিপফেক ভিডিওতে দেখা যায়, জারা প্যাটেল নামের ওই নারী একটি কালো ইউনিটার্ড পোশাক পরে একটি লিফটে প্রবেশ করছেন। সেই ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে জারার মুখে রাশমিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই প্রথম প্রতিবাদ করেন অমিতাভ বচ্চন। এরপর ভারতীয় শোবিজের প্রায় সবাই রাশমিকার পাশে দাঁড়ান।
অভিনেত্রী তখন এক বিবৃতিতে লেখেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে খুবই খারাপ লাগছে। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় যা অত্যন্ত অপ্রিয়। আমার মতো অভিনেত্রী যদি প্রযুক্তির শিকার হতে পারে, তাহলে সাধারণের সঙ্গে না জানি আরও কত, কী ঘটছে। আর কেউ যাতে আমার মতো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য অবিলম্বে এই প্রযুক্তি কৌশলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
যদিও তার পরেও আলিয়া ভাটসহ একাধিক নায়িকা একইভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ৪৬৫ (জালিয়াতি) এবং ৪৬৯ (প্রতিপত্তির ক্ষতি) এবং তথ্য প্রযুক্তির ৬৬সি (পরিচয় চুরি) এবং ৬৬ই (গোপনীয়তা লঙ্ঘন) ধারার অধীনে ভিডিওটির সঙ্গে যুক্ত একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। মামলার পর যে ইউজার থেকে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে তা খুঁজে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয় ফেসবুকের কাছে। এ ছাড়াও মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্যান্য খবরও নেওয়া হয়। এরপরেই নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, রশ্মিকা মন্দান্না ‘পুষ্পা’, ‘মিশন মজনু’ এবং ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ আলোচনায় রয়েছেন।
ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে ও সূক্ষ্মভাবে কোনও ব্যক্তির চেহারা কিংবা কণ্ঠ নকল করা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনও আপত্তিকর ভিডিওতে যে কারও চেহারা বসিয়ে ভুয়া ভিডিও বানানো যায়। এই ধরনের ভুয়া ভিডিও ‘ডিপফেক’ ভিডিও নামে পরিচিত। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ধরনের ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করা বেশ কঠিন।