যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে : প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্ব উভয় দেশের জন্যই পারস্পরিক লাভজনক হিসেবেই প্রমাণিত। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আগামীতেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামোসহ সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ করতে পারে মার্কিন কোম্পানিগুলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সহযোগী। বাংলাদেশের জন্য এফডিআই এবং রপ্তানি বাজারের একক বৃহত্তম উৎস হওয়ায় আমি আশা করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর প্রবৃদ্ধির গতিপথ আরও বাড়াবে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশকে সহজ করা এবং সর্বোত্তম সম্ভাব্য নীতি কাঠামো বন্ধুত্বপূর্ণ করবো। আমি বিশ্বাস করি যে, ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স এবং ইউএস-বাংলাদেশ ডিজিটাল ইকোনমি টাস্কফোর্স আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে উভয় দেশের কোম্পানির সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে অবদান রাখবে।’

বিদেশিরা বাংলাদেশে ব্যবসায় অনুকূল পরিবেশ পাবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে আপনাদের বিনিয়োগে আত্মবিশ্বাসী হবেন। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ এখন আরএমজি, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট, আইসিটি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং আরও অনেক কিছুতে তাঁর অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানার জন্য স্বীকৃত হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অনুসরণ করছি। ইতোমধ্যে আমরা খাদ্য উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের শিক্ষা ও স্বাক্ষরতার হারে উন্নতি করেছি এবং তা আরও আকর্ষণীয় করে তৈরি করেছি।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বেশি গভীর হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।