চেতনানাশক ইনজেকশনে শিশুর মৃত্যু : ক্লিনিক ভাঙচুর।

চেতনানাশক ইনজেকশনে শিশুর মৃত্যু : ক্লিনিক ভাঙচুর।
ডন প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : ভুল চিকিৎসায় সুমনা নামে এক শিশুর (৪) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিহতের স্বজনরা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শিশুটির পরিবারের লোকজন ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শ্যামলীপাড়ায় জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিশুর মা সুমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সুমনার পিঠে ফোঁড়া ওঠে। সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আমার ভাইকে নিয়ে অপারেশনের জন্য স্থানীয় জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক আহসানুল হকের কাছে যাই। সেখানে চিকিৎসক আমার মেয়েকে দেখে রক্ত পরীক্ষাসহ নানা ধরনের পরীক্ষা করতে দেন। পরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক আহসানুল হক সুমনার পিঠে পরপর ৫টি অবশের ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করে বলে, মা আমি আর বাঁচবো না। ইনজেকশন পুশ করার পর আমার মেয়ের খিঁচুনি শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শিশু সুমনার মামা মুনিয়া মিয়া বলেন, আমার ভাগ্নিকে নিয়ে যখন ক্লিনিকে গেলাম তখন চিকিৎসক তাঁকে দেখে অপারেশনের কথা বলেন। এ সময় কিছু ওষুধ আনতে বলেন। পরে সুমনাকে জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করে বলেন, একটু ঠাণ্ডা হলে নিয়ে আসবেন ফোঁড়া কেটে বের করে দেওয়া হবে। এরপর সুমনার খিঁচুনি শুরু হয়। তখন অক্সিজেন দেওয়ার জন্য তাঁকে একটা রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে বলেন, সুমনার অপারেশনের জন্য আপনাদের একটা স্বাক্ষর লাগবে। ডাক্তার এই কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে আমাদের আর রুমের ভেতরে ঢুকতে দেয় নি। আমরা এই চিকিৎসকের শাস্তি চাই। এ বিষয়ে জননী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম মুক্তা বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, শিশুটি মৃগী রোগী ছিলো। ডাক্তার তাঁকে অবশ করার ইনজেকশন দিলে তাঁর খিঁচুনি ওঠে। পরে তাঁকে আইসিইউতে রাখা দরকার মনে করে এখান থেকে রেফার্ড করা হয়। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। নিহত শিশুর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ‘এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’