বিচার দাবিতে গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল।

বিচার দাবিতে গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল।
ডন সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ : সহপাঠীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবিতে একাট্টা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মশাল হাতে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হলে শিক্ষার্থীরা প্রথমে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুকান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রশাসনকে বলেছিলাম ২৪ ঘণ্টারমধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে জনসম্মুখে আনতে হবে। প্রশাসন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।’ এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেসব দাবির প্রতি সমর্থন জানায় এবং কার্যকর ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেয়। দাবিগুলো হলো : ২৪ ঘণ্টারমধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার, জনসম্মুখে তাদের পরিচয় প্রকাশ ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা; আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চত করা; ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার বন্ধ এবং প্রধানমন্ত্রীসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করা। এদিন দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাজু। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষক সমিতির সদস্যদেরসঙ্গে সভা করেন উপাচার্য অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব। সভা শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন ড. মাহবুব। তিনি বলেন, যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে বিচার আদায় করবো।’ এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানান। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আমরা আগামীকাল (শনিবার) সব কিছু জানাবো।