হ্যাটট্রিক জয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি ৭ জানুয়ারি।

ডন প্রতিবেদন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর তিন বছর পূর্ণ করলো শেখ হাসিনার সরকার। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটায় আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তি ও চতুর্থ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের এইদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চমক জাগানো নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্য শপথ নেন। সরকারের এই দুই বছরের পথচলায় মন্ত্রিসভায় কয়েক দফায় রদবদল হয়েছে, যুক্ত হয়েছেন নতুন মুখ। তৃণমূলে নেতৃত্ব ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নিয়ে কিছু কোন্দল দেখা গেছে। তবে সাংগঠনিকভাবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেমন বেগ পেতে হয় নি ক্ষমতাসীন দলটিকে। রাজপথেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও খুব একটা চ্যালেঞ্জ আসে নি। এই তিন বছরের পথচলায় সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছিলো বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) সংক্রমণ। করোনা মোকাবিলা করে একদিকে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা, অন্যদিকে জনগণের জীবন-জীবিকা সচল রাখা- দুইয়ে মিলে সরকারের চলার পথটি ছিল বন্ধুর। তবে শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে দৃঢ়তারসঙ্গে একহাতেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্য দিয়ে আরও একটি বছর কাটাল টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বছরের অধিকাংশ সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকলেও বেশকিছু আলোচিত ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ বছরটি পার করে। দলীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও বছরজুড়েই নেতৃত্বের সম্মুখভাগে থেকে প্রশংসিত হয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গেলো বছর বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোরতা দেখিয়েছেন তিনি, যা আগামী দিনে অনেকের জন্যই সাবধান বার্তা হিসেবে কাজ করবে। তবে নোয়াখালী থেকে গাজীপুর এবং হেলেনা জাহাঙ্গীর থেকে একজন প্রতিমন্ত্রীর সমালোচিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। ২০২১ সাল ছিলো স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্‌যাপনের বছর। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতির কারণে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের কর্মসূচি উদ্‌যাপিত হয়। প্রতিবেশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ সার্কভুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ভিডিও বার্তা ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র সরকার প্রধানরা শুভেচ্ছা জানান। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় তৃতীয় বছর পূর্ণ করে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করবে ৭ জানুয়ারি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে ১৩ বছর ধরে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি, ক্ষমতার এই ১৩ বছরে উন্নয়ন-অগ্রগতি-অর্জনে দেশের পুরো চেহারাই বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো। চলতি বছরে বহুল আকাঙ্খিত পদ্মাসেতুসহ অন্যান্য মেগাপ্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হবে। ক্ষমতার এই ১৩ বছরে দেশের প্রায় শতভাগ মানুষের ঘরে এখন বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। মুজিববর্ষে গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সর্বত্র রাস্তা-ঘাট পাকা, পুল-ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান এক বাস্তবতা। সরকারের দাবি, দেশের এই সত্যিকারের বদলে যাওয়ার প্রধান রূপকারই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ অপবাদকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং নানা চড়াই-উতরাই ও অন্ধকারের যুগ পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসোপানে। দেশ এগিয়ে চলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে থেকে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। বর্তমান সরকারের টানা ক্ষমতার ১৩ বছরের মেয়াদে দীর্ঘ একুশ বছর ধরে বুক ফুলিয়ে চলা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, ফাঁসির দণ্ড কার্যকর, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে উত্তরণের সাহসী পদক্ষেপেরও সাক্ষী এদেশের মানুষ। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতির সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশকে ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে। প্রাণঘাতী করোনা মহামারিসহ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। টানা এই ১৩ বছরে দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তানও এখন বাংলাদেশ হতে চায় বলে গণমাধ্যমে সংবাদ উঠে আসে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প-২০২১’ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের জনগণ নিরঙ্কুশভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। একইভাবে বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় গণ রায় প্রদান করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চলমান অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা, সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা ১৩ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ধারাবাহিকভাবে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশকে ছাড়িয়ে দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনকে করেছে শক্তিশালী। বৈশ্বিক মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বুকে বিশেষভাবে অনুকরণীয় রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কঠোরহস্তে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মানুষকে স্বস্তি এবং বাংলাদেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রেও সক্ষম হয়েছে সরকার। তবে ক্ষমতার এই ১৩ বছরে সরকারকে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং অস্তিত্বের সঙ্কটে থাকা রাজপথের বিরোধীদলগুলো সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহতের চেষ্টা করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক ষড়যন্ত্রকেই মোকাবিলা করতে হয়েছে ক্ষমতার এই ১৩ বছরে। কখনও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে উগ্র অন্ধকারের অপশক্তির জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু অতীতের মতো গত ১৩ বছর ধরেই এই অন্ধকারের অপশক্তিকে রাজনৈতিক ও সরকারিভাবে মোকাবিলা করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী (২৫ বছর) এবং সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) পালন করার রেকর্ডও এখন আওয়ামী লীগ সরকারের। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন করেছিল বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকভাবে। সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বর্ণবাদবিরোধী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রয়াত ইয়াসির আরাফাত, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেলসহ বিশ্বের অনেক নেতা। এ উপলক্ষে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সার্কভুক্ত পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা এবং বিশ্বের প্রায় সকল বৃহৎ দেশ শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। সর্বশেষ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মধ্যে একটি অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, বছরের বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর বক্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। এ সমস্ত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে কয়েকজনকে দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে সর্বাধিক আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে দলের পদক মেয়র এর পদ হারান গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন’ নামক সংগঠন থেকে ‘ভুঁইফোড়’ হেলেনা জাহাঙ্গীর ঠাঁই পান আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত হন তিনি। বিদায়ী বছরে হেলেনা জাহাঙ্গীর থেকে ভুঁইফোড় সংগঠনের দর্জি মনির, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত হতে হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে।