শিক্ষার্থীরা নাশকতা করেন নি : পুলিশের সঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকেও সহায়তা দিন

শিক্ষার্থীরা নাশকতা করেন নি : পুলিশের সঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকেও সহায়তা দিন

কালাম আঝাদ'র কলাম : পুলিশ পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বলছি, সব সময়ই সরকারের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে মার খেয়েছে পুলিশ, নিহত হয়েছে পুলিশ। এখন যদি বিএনপি বা জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় চলে আসে, তাহলে কিন্তু পুলিশ আওয়ামী লীগের কথা শুনবে না; সরকারের কথাই শুনবে এবং আওয়ামী লীগের হাতে মার খাবে। আবার মারবেও আওয়ামী লীগকে। এ অবস্থায় আমরা ছাত্র আন্দোলনে দেখতে পেয়েছি, প্রথম থেকেই ছাত্ররা অহিংস আন্দোলন করে এসেছেন। সকল শিক্ষার্থীকে প্রধানমন্ত্রীর 'রাজাকারের বাচ্চারা' গালি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে রাজাকার বলেছেন। এটি তাঁরা বলেছেন বিদ্রুপাত্মক হিসেবে। কারণ তাঁদের আস্থার একমাত্র জায়গা ছিলেন শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন কোনও তকমা দিয়েই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত। আর শিক্ষার্থীরা কিন্তু এখন পর্যন্ত আন্দোলনে কোনও সহিংসতা করেন নি, তাঁদের আন্দোলনে অন্য কেউ ঢুকে এসব করেছে। বর্তমানে কোটা সংস্কারে আপিল বিভাগের রায়ে এখন শিক্ষার্থীদের দাবিও মানা হয়েছে, মেধার হার ৯৩ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এর মাঝখানে ৩ জন পুলিশ সদস্য, একজন আনসার সদস্য এবং বেশকিছু শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে গেছে। রাজনীতিবিদদের গোয়ার্তুমির কারণে তাঁদের প্রাণগুলো ঝরে গেলো। এখন পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে; প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকেও সহায়তা দিন। কারণ একটি দরিদ্র পরিবার বা মধ্যবিত্ত পরিবার তাঁদের একজন সন্তানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়, আর শিক্ষার্থীটিকেও অনেক মেধাবী হতে হয়। কোনও কোনও পরিবারের একমাত্র আশা এবং ভরসারস্থল থাকেন শিক্ষার্থীটি। সুতরাং নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে দেখার দায়িত্ব এখন সরকারের। একইসঙ্গে পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পরিবারকে দেখার দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে।