মেডিক্যালে ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল প্রশ্নে রুল

মেডিক্যালে ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল প্রশ্নে রুল
ডন প্রতিবেদন : মেডিক্যালে প্রথম বর্ষে (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র কেনো আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে ফলাফল বাতিল চেয়ে ১৯৫ ভর্তিচ্ছুর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৯ আগস্ট) এ রুল দেন। স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৫ বিবাদিকে ১০ দিনেরমধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরিক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থিকে নির্বাচন করা হয়। পরিক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৮ হাজার ৯৭৫ শিক্ষার্থি উত্তীর্ণ হন, যা মোট পরিক্ষার্থির ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ক্রটিপূর্ণ উল্লেখ করে ওই ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধাতালিকায় ভর্তি চেয়ে ৩২৪ শিক্ষার্থি গত ১৯ মে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ২৭ মে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ নিয়ে রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন। সেদিন আদালত বলেন, ফলাফল বিষয়ে অভিযোগ থাকলে কোনও পরিক্ষার্থি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ দিনেরমধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থিকে তা জানাবেন। আর তথ্য গোপন করে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও শিক্ষার্থি অংশ নিলে এবং তা চিহ্নিত হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থির ভর্তি তৎক্ষণাৎ বাতিল হবে। এরপর ৩২৪ শিক্ষার্থিরমধ্যে ১৯৫ শিক্ষার্থি নতুন করে ১৭ আগস্ট আরেকটি রিট করেন, যা রবিবার (২৯ আগস্ট) শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। প্রথম রিটে যাঁরা আবেদনকারি ছিলেন, তাঁদেরমধ্যে ১৯৫ জন দ্বিতীয় রিটটি করেন। কেননা আগের রিটের প্রেক্ষিতে তাঁরা ভর্তির ফলাফলে ত্রুটি উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ১৯৫ শিক্ষার্থির আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন, তবে শিক্ষার্থিরা ভর্তির বিষয়ে কোনও কাঙ্ক্ষিত প্রতিকার পান নি। তাই রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।