শাহ আমানত ভাসলো সোজা হয়ে

শাহ আমানত ভাসলো সোজা হয়ে
ডন প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি শাহ আমানত সোজা করে ভাসানো হয়েছে; তবে তা ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় নি। দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ফেরিটি সোজা করা হয় বলে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান জানিয়েছেন। গত ২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় রাজবাড়ির দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া আসে ফেরিটি। ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুন এলাকায় ফেরিটি ডুবে যায়। ফজলুর রহমান বলেন, বিকালের আগেই ফেরিটি পুরোপুরি সোজা করা হয়। এখন চলছে ফেরির ভেতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের মালামাল অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা কাজ। ‘এ ছাড়া ফেরির বিভিন্ন স্থানে হওয়া ছিদ্র বন্ধ করার কাজও চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কাজ শেষ হতে আরও দুদিন সময় লাগবে। এরপর ফেরিটি বিআইডব্লিউটিসির কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ সোজা করার পর ফেরিটি দুই পাশে দুটি বার্জের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজ পাঁচটি উইন্স বার্জ দিয়ে ফেরিটি উদ্ধারের কাজ করেছে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ২৭ অক্টোবর সকাল ৯টার কিছু পর পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলো শাহ আমানত। পদ্মা পার হয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছানোর পরপরই সেটি কাত হয়ে নদীতে উল্টে যায়। ৮শ টন ওজনের শাহ আমানত ফেরি ২৫টি যানবাহন বহন করতে পারে। দুর্ঘটনার সময় ফেরিতে ছিল ১৭টি ট্রাক ও কিছু যাত্রী ছিলো। বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দুর্ঘটনার দিন সকালেই আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় গিয়ে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছিলো। কিন্তু ৮শ মেট্রিক টনের ফেরি শাহ আমানতকে উদ্ধার করার ক্ষমতা ৬০ মেট্রিক টনের হামজার না থাকায় খবর দেওয়া হয় চাঁদপুরে থাকা আড়াইশ টনের প্রত্যয়কে। কিন্তু প্রত্যয় জাহাজ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার কাছাকাছি আসার পর গতি, পদ্মাসেতুর ঝুঁকিসহ নানা কারণ দেখিয়ে সেটাকে ফেরত পাঠানো হয়। তার বদলে পাটুরিয়ায় পাঠানো হয় মাদারীপুরে থাকা রুস্তমকে। হামজার মত রুস্তমের ক্ষমতাও ৬০ মেট্রিক টন হওয়ায় পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজকে উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।