প্রধানমন্ত্রী বিকেলে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন।

প্রধানমন্ত্রী বিকেলে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; শ্রীমঙ্গল : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন। তিনি বিকেল চারটায় দেশের চারটি জায়গার চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের মোট চারটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা কথা বলবেন। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের নামের তালিকা করেছে প্রশাসন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা। চারটি জায়গায় চা-শ্রমিকদের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা-বাগানের চা-শ্রমিক উষা হাজরা বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর জন্য আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জন্য ১৭০ টাকা মজুরি করে দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখি। আমরা আজ অনেক খুশি হয়েছি, সাধারণ চা-শ্রমিকদের কথা প্রধানমন্ত্রী সরাসরি শুনবেন বলে। আমরা সবাই কথা বলতে না পারলেও আমাদের যাঁরাই কথা বলবেন, তাঁরা যেন চা-শ্রমিকদের জীবনের সুখ-দুঃখ সব প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।’

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘এই প্রথম সারা দেশের চা-শ্রমিকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এতো বড় পরিসরে কথা বলার আয়োজন করেছেন। আমাদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় আমরা ১৭০ টাকা মজুরি পেয়েছি। আমরা চা-শ্রমিকেরা কথা বলার সুযোগ পেয়ে খুশি। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ভালো কিছু করবেন।’

৩ শ টাকা মজুরির দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে চার দিন কর্মবিরতি এবং ১৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করেছেন চা-শ্রমিকেরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ আগস্ট চা-বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে চা-শ্রমিকদের জন্য ১৭০ টাকা মজুরি ও আনুপাতিক হারে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা এলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২৮ আগস্ট থেকে কাজে যোগ দেন চা-শ্রমিকেরা। আন্দোলনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি বারবার বলে আসছিলেন সাধারণ চা-শ্রমিকেরা।