পাঁচ শতাধিক গ্রেপ্তার : কূটনীতিকদের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটক হওয়াদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিএনপির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা আমিনুল হককেও আটক করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজধানীতে অশান্তির সময় অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় এক হাজার জন আহত হয়েছেন। আহততদের মধ্যে ৬০ জনের অবস্থা গুরুতর।

বিএনপির মুখপাত্র এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান অবশ্য তাঁর দলের গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে এএফপিকে বলেন, গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী কয়েক শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কূটনীতিকদের পাল্টা প্রশ্ন : কোটা আন্দোলন, বিক্ষোভ, সহিংসতা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের রবিবার (২১ জুলাই) ব্রিফ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এএফপি জানিয়েছে, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাষ্ট্রদূতদের একটি ১৫ মিনিটের ভিডিও দেখান, যেখানে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঘটনার একতরফা উপস্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে পিটার হাস বলেছেন, 'আমি আশ্চর্য হয়েছি যে আপনি নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ফুটেজটি দেখান নি।

একই কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে এএফপি আরও জানিয়েছে, বিক্ষোভ দমন করার জন্য জাতিসংঘের লোগো চিহ্নিত সাঁজোয়া যান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধির করা প্রশ্নের জবাব দেন নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।