৫ বছর পর নতুন এমডি পাচ্ছে জনতা ব্যাংক

৫ বছর পর নতুন এমডি পাচ্ছে জনতা ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : এস আলম, এনন টেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের জালিয়াতির হোতা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুছ ছালাম আজাদের জায়গায় নিয়োগ পাচ্ছেন আব্দুল জব্বার। তিনি এতোদিন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আব্দুছ ছালাম আজাদ গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনতা ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে আব্দুল জব্বারের নিয়োগের বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।

জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আব্দুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়ার চিঠি পেয়েছি। ৩ বছরের জন্য চুক্তিতে তাঁকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী করা হয়েছে।’

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তাঁর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, সরকারের এ মনোনয়ন এখন ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদন করা হবে। তারপর প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠাবে জনতা ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র পেলে তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত করতে পারবে ব্যাংক।

এ নিয়োগের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকে আব্দুছ ছালাম আজাদ পর্ব শেষ হচ্ছে। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর তাঁকে ব্যাংকটিতে এমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলো সরকার।

২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর তাঁর প্রথম মেয়াদ শেষ হলে সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ দেওয়া হয়।

ওই সময়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিলো, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে আব্দুছ ছালাম আজাদকে ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত (তাঁর বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত) চুক্তিতে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হলো।

জনতা ব্যাংকেই কর্মজীবন শুরু হয় আব্দুছ ছালামের। মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদ থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেলে তাঁকে বদলি করা হয় কৃষি ব্যাংকে।

এরপর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেই তিনি ফিরে আসেন জনতা ব্যাংকে। সেখান থেকেই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ব্যাংকটিতে অনেকগুলো বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে তিনি এমডি থাকা অবস্থায়।

এর একটি হচ্ছে এস আলম গ্রুপের জালিয়াতি। অন্যটি হচ্ছে : এনন টেক্স গ্রুপের পাঁচ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম। আরও একটি হচ্ছে ক্রিসেন্ট গ্রুপকে সীমার বাইরে ঋণ দেওয়ার ঘটনা।

এনন টেক্স গ্রুপকে দেওয়া ঋণের অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ পরিদর্শন চালায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই পরিদর্শনে ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। বর্তমানে দুটি ঘটনা নিয়ে মামলা চলছে।