সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ ফের স্থগিত

সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ ফের স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ আবারও স্থগিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কেবল সম্পূর্ণ বিদেশি অর্থায়নে উচ্চতর শিক্ষা এবং বাইরের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ বা সেমিনারে বিদেশ যাওয়া যাবে। বুধবার (৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত্র একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এর আগে চলতি বছরের মে মাসের একটি পরিপত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছিলো। তবে সেপ্টেম্বরে আবার চারটি ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা হয়। এবার বৈদেশিক মুদ্রার ওপর সৃষ্ট চাপ বিবেচনায় সরকারি অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হলো।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর বা দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যে কোনও বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সীমিত আকারে কেবল দুটি ক্ষেত্রে বাইরে যাওয়া যাবে। প্রথমত, বৈদেশিক সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়নে পাওয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্চে অধ্যায়ন। দ্বিতীয়ত, বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত, পেশাগত প্রশিক্ষণ বা সেমিনারে অংশগ্রহণ।

এর আগে চলতি বছরের ১২ মে এক পরিপত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের সকল প্রকার বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিলো, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্ট্যাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বরের এক পরিপত্রে কিছুটা শিথিলতা এনে বলা হয়, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় চার ধরনের কাজে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

চার ধরনের খাত ছিলো- পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের দেওয়া স্কলারশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন। দ্বিতীয়ত, সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত বিশেষায়িত বা পেশাগত প্রশিক্ষণ। তৃতীয়ত, বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ। 

এ ছাড়া সরকার যেসব পণ্য বা সেবা কিনছে, সেগুলোর সরবরাহকারী, ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে পণ্য বা সেবার গুনগত মান নিরীক্ষা বা পরিদর্শনে যেতে পারবেন। এ ধরনের ভ্রমণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পৃক্ত না থাকলেও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তারাও বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এখন সম্পূর্ণ বিদেশি অর্থায়নে উচ্চতর শিক্ষা ও সভা-সেমিনারের বাইরে সব ক্ষেত্রে স্থগিত থাকবে।