স্মরণকালের বড় ভারতীয় জাল রুপির চালানসহ জালিয়াত চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার। এসেছে পাকিস্তান থেকে।

স্মরণকালের বড় ভারতীয় জাল রুপির চালানসহ জালিয়াত চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার। এসেছে পাকিস্তান থেকে।
ডন প্রতিবেদন : রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)। তিনি বলেন, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মূল গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমন সময় তার হেফাজত থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াত চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান হতে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতো। গ্রেপ্তারকৃত তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে। গ্রেপ্তারকৃত তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানীকৃত মার্বেল পাথরের ৫শটি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫ টি বস্তারমধ্যে সুকৌশলে ওই ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে জাল টাকা সংক্রান্তে মতিঝিল থানায় মামলা রুজু হয়েছিলো বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। রিমান্ড আবেদনসহ তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) ইফতেখায়রুল ইসলাম, পিপিএম এর সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয় বলেই জানা গেছে।