শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বাসস : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের এইদিনে দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগী আলবদর, রাজাকার এবং আল-শামস এর সঙ্গে যোগসাজশে দেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো। সদ্য উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিলো তাদের।

দেশ ও জাতির স্বার্থে শাহাদত বরণকারী মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুন সূর বাজানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজ-খবর নেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।

১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অধ্যাপক, সাংবাদিক, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও শিল্পীসহ মাটির দুই শতাধিক কৃতি সন্তানকে নিজ নিজ বাসভবন থেকে অপহরণের পর জিম্মি করে তাঁদের চোখ বেঁধে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া এবং রাজারবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে।

পরবর্তীকালে রায়েরবাজার এবং মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে তাঁদের গণহত্যা করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যাঁরা খুনিদের রোষানলে পড়েন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন : ড. আলীম চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান, সেলিনা পারভীন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী। এরপর থেকে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।