শ্যালকের হাতে খুন : খাগড়াছড়ির রামগড়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই

শ্যালকের হাতে খুন : খাগড়াছড়ির রামগড়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; এস চাঙমা সত্যজিৎ, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলায় শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি এসএসের লোহার পাইপ ও খেলার ব্যাটসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে রামগড় থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার নাইমুল হক পিপিএমের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামগড় সার্কেল নাজিম উদ্দিনের দিক-নির্দেশনায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও দীর্ঘদিনের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চন্দ্র করসহ রামগড় থানার পুলিশের সহযোগিতায় শীতকালীন  বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিরতিহীনভাবে অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান আসামি শ্রীদাস কুমার ত্রিপুরা সাগর ও তাঁর বন্ধু আকাশ নন্দীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি একই সময়ের মধ্যে মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। 

আটককৃত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কারাবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে, ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটায় পারিবারিক কলহের জের ধরে দ্বীপক ঘোষ মুন্না (৩৮), রামগড় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শশ্মান টিলার বাসিন্দাকে তাঁর স্ত্রীর (কণিকা) আপন ভাই (শ্যালক) শ্রীদাস কুমার ত্রিপুরা সাগর (২৪), পিতা : তপন কুমার ত্রিপুরা, গ্রাম : সুকেন্দ্রাই পাড়া, ২ নম্বর ওয়ার্ড, রামগড় পৌরসভা ও তাঁর সঙ্গী আকাশ চন্দ্র নন্দী (২৪), পিতা : শুভংকর নন্দী, গ্রাম : শশ্মানটিলা- এসএসের স্টিলের পাইপ ও  ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে মৃত দ্বীপক ঘোষ মুন্নার (৩৮) পিতা রাখাল চন্দ্র ঘোষ বাদি হয়ে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর : ৬, তারিখ : ২৫/০১/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ধারা : ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।