ডন সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ জনে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বিষয়টি বাঙলা কাগজ ও ডনকে নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল যুবায়ের এবং গজারিয়া থেকে তিন বছরের শিশু আরোহী ও জাবেদ নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানায়।
পরে টহল বোট গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নিহতের স্বজনরা। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, নৌ-থানা পুলিশ ও কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তালিকা অনুযায়ী আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত টহল ও তল্লাশি তৎপরতা চলবে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় টানা তিন দিন ধরে নিখোঁজদের সন্ধানে আহাজারি করছেন স্বজনরা।
গত রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আশরাফ উদ্দিন নামের একটি যাত্রিবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেয় রূপসী-৯ নামের একটি কার্গো। এতে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর আল আমীন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ ছিলো। এ ঘটনায় বিআইডব্লিওটিএ দুইটি মামলা করেছে।
এদিকে রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজের মাস্টার-ড্রাইভার গ্রিজার ইঞ্জিনিয়ারসহ ৮ জনকে আটক করে আদালতে পাঠালে সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।