লাঙ্গলবন্ধ সেতুতে সংস্কারকাজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিলো যানজট।

লাঙ্গলবন্ধ সেতুতে সংস্কারকাজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিলো যানজট।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; নারায়ণগঞ্জ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ সেতুর ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংস্কারকাজের কারণে এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ওই মহাসড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বুধবার (৪ মে) বিকেল তিনটা থেকে সেতুর ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’ মেরামতের কাজ শুরু করে। এতে সেতুর একপাশ (ঢাকামুখী) যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সেতুর অপরপাশ (চট্টগ্রামমুখী) দিয়ে রেশনিং করে গাড়ি পারাপার করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘লাঙ্গলবন্দ সেতুর সংস্কারকাজের জন্য সেতুর একপাশে (ঢাকামুখী) যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু অপর একপাশ (চট্টগ্রামমুখী) রেশনিং করে যানবাহন ছাড়া হচ্ছে। এ কারণে মহাসড়কের যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেতুর সংস্কার কাজের জন্য পুলিশ রেশনিং করে গাড়ি ছাড়ছে।’ ‘এমনিতে এখন কোনও যানজট হওয়ার কথা না। কিন্তু সেতুতে সংস্কারকাজ চলায় যানজটে হচ্ছে। আমরা সেতুর দুপাশের গাড়ির পারাপার করার চেষ্টা করছি।’ ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রী বলেন, মেঘনাঘাট থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর অল্প অল্প করে যানবাহন এগোচ্ছে। ঈদের ছুটির এই সময়ে যানজটের ভোগান্তির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এ ব্যাপারে সওজের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মেহেদী ইকবাল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, লাঙ্গলবন্দ সেতুর ছয়টি ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঈদের বন্ধে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর ছয়টি ‘এক্সপানশন জয়েন্ট’ সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ছয়টি এক্সপানশন জয়েন্টের মধ্যে চারটি লাগানো হয়েছে। অপর দুটি এক্সপানশন জয়েন্টের কাজ দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা হবে। সওজের কর্মকর্তা মেহেদী ইকবাল আরও জানান, লাঙ্গলবন্দ সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ছয় মাস আগে মেরামতকাজ করা হয়েছিলো। কিন্তু সে সময় ‘এক্সপানশন জয়েন্টের’ কাজ করা সম্ভব হয় নি। তিনি বলেন, এই পাশ লাগানোর পর সেতুর চট্টগ্রামমুখী অংশের এক্সপানশন জয়েন্ট সংস্কারকাজ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, দুই ঘণ্টার মধ্যে সেতুর বন্ধ থাকা পাশটি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।