আজও রাস্তায় শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবি। কাল বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি।

আজও রাস্তায় শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবি। কাল বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি।
ডন প্রতিবেদন : হাফ পাসসহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই দাবি জানিয়ে তাঁরা সোমবারও (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এমন অবস্থায় তাঁদের দাবি এখনও না মানায় কাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) সামনে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের দাবি মানা না হলে দিনদিন কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে গতকাল রবিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে মোহাম্মদপুর থানায় ডেকে নিয়ে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী বাংলা কাগজ এবং ডনকে জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, আন্দোলনে কেউ অর্থায়ন করছে কি না। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর জানামতে, কেউ অর্থায়ন করছে না, ছাত্রছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর পরও তাঁদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া না নেওয়ার পর গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১১ নভেম্বর বিআরটিএতে একটি স্মারকলিপি দেন তাঁরা। তখন থেকেই হাফ পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসান নিহত হন। পরদিন নিহত হন আরও একজন গণমাধ্যমকর্মী। এ ছাড়া দুই ছাত্রীরসঙ্গে দুই বাসের সহকারীর অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। সবমিলিয়ে এখন ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা : শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিরমধ্যে রয়েছে : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে শিক্ষার্থীসহ সড়কে হত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা; ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা; গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাথ, ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা; সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কঠোর আইন প্রণয়ন করা; দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে দেওয়া; বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনা এবং বিআরটিএ’র সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারাদেশে অবিলম্বে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করা; ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এটি পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা এবং গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখুন : https://www.facebook.com/watch/live/?ref=external&v=1535855703434988