রোহিঙ্গা গণহত্যা : আদালতে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছে গাম্বিয়া।

রোহিঙ্গা গণহত্যা : আদালতে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছে গাম্বিয়া।

ডন প্রতিবেদন : নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা শুনানির দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)। হেগের আদালতে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছে গাম্বিয়া। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিভিন্ন প্রমাণ থাকার পরও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। স্থানীয় সময় বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে গাম্বিয়া। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় শুনানি। গত সোমবার শুনানিতে গাম্বিয়ার করা মামলা ও আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে যুক্তি দেয় মিয়ানমার। দেশটির আইনজীবীদের যুক্তি ছিলো, গাম্বিয়া ওআইসির হয়ে এ মামলায় প্রক্সি দিচ্ছে। আইসিজেতে মামলা করার এখতিয়ার শুধু রাষ্ট্রের রয়েছে, কোনও সংস্থার নয়। তাই ওআইসির হয়ে গাম্বিয়া মামলা করতে পারে না। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ গাম্বিয়াকে মামলা করতে তহবিল দিচ্ছে বলেও বিচারকদের সামনে অভিযোগ তুলে ধরেন মিয়ানমার জান্তা সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা। যদিও মিয়ানমারের সবকটি যুক্তি খণ্ডন করেছে লিখিতভাবে গাম্বিয়া। তাঁরা জানায়, আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তাঁদের মামলার পেছনে ওআইসির ভূমিকা সমর্থন জানানোরমধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ওআইসি সনদ অনুযায়ী, গাম্বিয়া বা অন্য কাউকে কোথায়, কখন, কার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সংস্থাটির নেই। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র না হয়েও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অধিকারের বিষয়ে গাম্বিয়ার দাবি, গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদের তৃতীয় অনুচ্ছেদে, উল্লিখিত অপরাধে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিরোধে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, এমন তৃতীয় পক্ষও যুক্ত হতে পারে বলে বিধান আছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার শিকার হন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাঁদের নিধনে চলে গণহত্যা। জীবন বাঁচাতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওআইসির সহযোগিতায় ২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরই মামলার প্রথম দফার শুনানি হয়।