চলছে সারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা

চলছে সারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব। শনিবার (পহেলা অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের পর দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে অকালবোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। রোববার (২ অক্টোবর) সপ্তমী তিথীতে নবপত্রিকা স্নান ও  সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে কলাবউ স্থাপন করা হবে। এইদিনেই প্রাণ সঞ্চার করা হবে দেবীর মৃন্ময়ীতে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) মহা অষ্টমী তিথিতে সনাতনী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সকলে মিলে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন। এইদিনই হবে সন্ধীপূজা। মাতৃরূপে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে ‘কুমারী পূজা’। 

শাস্ত্রমতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় দেবীর ৬ষ্ঠ রূপ ‘উমা’ হিসেবে।

ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। 

নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী বুধবার (৫ অক্টোবর) দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর দেবীর এই আগমনকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের পূজা সংশ্লিষ্টরা।

সারাদেশে এ বার ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে কড়া নজরদারি।