বিড়াল যদি হতাম : আব্দুল্লাহ আল ফারুক মুরাদ
বিড়াল যদি হতাম
কিলবিলিয়ে খিলখিলয়ে
চ্যাগবেগিয়ে লেজটা মাথায় তুলে...
কার্নিশের ওই উপর হতে
ডিগবাজিতে পরতাম ভটাস করে।
ক্ষুধা লাগলে প্যাউ প্যাউয়ে
মাথাটা খেতাম মনিবের পা ঘষিয়ে।
দিনটা আমার দুধ-ভাতে
বিকালটা যেতো পটিতে
সন্ধ্যা হবার আগে যেতাম বেজায় ঘুমিয়ে!
আহ্ কি দারুণ কাটতো সময়
মায়ান বাবুর গলাটা নিতাম জড়িয়ে
চুমুর ছলে আলতো করে দিতাম হাতটা বুলিয়ে!
আমি বাপু খাইনে পঁচা আঁশটে
মাছের লেজ...
আমার জন্য ঘরের বুয়া
রেঁধেছে সুপ,
ভীষণ ফাইন টেস্ট।
কতো শত কাপড় আমার
আয়রনের ভাজে মজুদ
সকাল-বিকাল ঘুরে দেখি
‘চেগিয়ে’ আমার মুখ।
সাবান-শ্যাম্পু বাথটাবে রেডি
উষ্ণ গরম জলে
হালকা করে চুবিয়ে নিবো
মুছটা আয়েশ করে।
তারপরেতে টুনা জেলি
নিবো হালকা চেটে
ক’দিন হলো টেস্ট পাই না বোধ হয় খাবারে।
বিকেল হলে সোফায় শুয়ে
টম অ্যান্ড জেরির কার্টুন
দেখতে দেখতে হালকা দেবো- স্লাইড একটু ঘুম।
সবাই আমায় আদর করে
কিটি মনি বলে;
সেই না শুনে চোখগুলো মোর
মায়ায় মায়ায় ভাসে।
বেশ আছি ভাই অনেক ভালো
তোমরা মানুষ যাঁরা, হিংসে করো না
আমার জীবন যাচ্ছে যথা তথা...
কতো কথা কয়রে মানুষ
জবান দিছে খোদা!
আমি আছি ভালো ওগো
চুপচুপিয়ে হাসি মুখে
লেজ বাগিয়ে চলি...
আমার জীবন এমন মধুর
হিংসে করো না গো।