বাংলাদেশকে করোনার ওষুধ উৎপাদনের ‘অনুমতি’ দিয়েছে ফাইজার

বাংলাদেশকে করোনার ওষুধ উৎপাদনের ‘অনুমতি’ দিয়েছে ফাইজার
ডন প্রতিবেদন : বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯৫টি দেশের ওষুধ কোম্পানিকে নিজেদের উদ্ভাবিত করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ফাইজার। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জাতিসংঘ সমর্থিত মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি)সঙ্গে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজারের চুক্তি হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ সহ ৯৫টি দেশ ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের লাইসেন্স পাচ্ছে। এর আগে, জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপিরসঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি করোনার ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিলো বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ফাইজার জানায়, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের পাশাপাশি সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং গত পাঁচ বছরেরমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয় থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে এমন মোট ৯৫টি দেশ তাঁদের তৈরি করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পাবে। চুক্তি অনুসারে, দরিদ্র দেশগুলোতে করোনার ওষুধ বিক্রি থেকে কোনও অর্থ নেবে না ফাইজার। এমনকি চুক্তির আওতায় থাকা অন্য দেশগুলোতে ওষুধ বিক্রির লভ্যাংশও ছেড়ে দিচ্ছে তাঁরা। ফাইজার-এমপিপির চুক্তি অনুসারে, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা রোগীদের জন্য মুখে খাওয়া ওষুধে সাফল্য পাওয়ার কথা জানায় ফাইজার। প্রাথমিক ট্রায়ালে তাঁদের ওষুধ ৮৯ শতাংশ কার্যকার প্রমাণিত হয়েছে বলেই জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ সারাতে ফাইজারের ওষুধ তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কের তৈরি মলনুপিরাভিরের চেয়েও বেশি কার্যকর। মার্কের ওষুধটি করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বা রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে নামাতে সক্ষম। সেই তুলনায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিডের কার্যকারিতা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। চলতি বছরের শেষের দিকে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন পেতে পারে ফাইজারের ওষুধটি। তাঁরা জানায়, আগামী ২৫ নভেম্বরের আগেই প্রাথমিক ট্রায়ালের ফলাফল মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) হাতে তুলে দেওয়া হবে।