বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল : কাকরাইলে সংঘর্ষ

বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল : কাকরাইলে সংঘর্ষ
ডন প্রতিবেদন : কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে ঢাকার বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করে পুলিশেরসঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে কয়েকশ লোক। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর মালিবাগ মুসলিম সমাজের ব্যানার নিয়ে কয়েকশ লোক এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা দুই ভাগ হয়ে যায়। তাদের একটি অংশ বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তখন বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নেয় এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। পুলিশ সেখান থেকে একজনকে ধরে রমনা থানায় নিয়ে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষের সময় গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। কাকরাইল ও বিজয়নগরের বিভিন্ন গলিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। প্রধান সড়কে পুলিশের এপিসি ও জলকামানের গাড়িও দেখা যায়। দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লার একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে বুধবার (১৩ অক্টোবর) কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে ও পূজামণ্ডপে হামলা হয়। তা ঠেকাতে গেলে পুলিশেরসঙ্গে সংঘর্ষও বাঁধে, যাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রাণহানিও ঘটে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনার পেছনে কোনও ‘স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র’ আছে বলেই তারা মনে করছেন। আর ‘ধর্মকে ব্যবহার করে যারা সহিংসতা’ সৃষ্টি করছে, তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।