দেশে এলো ভারতের উপহারের আরও ২৯ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স

দেশে এলো ভারতের উপহারের আরও ২৯ লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স
ডন প্রতিবেদক, মহসিন মিলন, বেনাপোল : বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে আরও ২৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স। ভারত সরকারের উপহারের ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে চতুর্থ চালান হিসেবে এসব অ্যাম্বুলেন্স এলো। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেনাপোল বন্দরের চ্যাচিজ টার্মিনালে প্রবেশ করে। এর আগে, গত ২৬ আগস্ট তৃতীয় চালানে ৪০টি, ৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে ৩০টি এবং ২১ মার্চ প্রথম চালানে ১টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে এসে পৌঁছায়। এ নিয়ে ৪ চালানে মোট ১শটি অ্যাম্বুলেন্স দেশে এলো। বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ভারতেরসঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পাশাপাশি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন দুর্যোগকালিন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের জানান দিতে বাংলাদেশও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের পাশে থেকেছে সাধ্যমতো। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ। ভ্রমণ আর চিকিৎসা সেবায় প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকেও লাখো মানুষ ভারতে যায়। ‘ভারতে কোনও দুর্যোগ হলে সহজে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে, তেমনি বাংলাদেশে কোনও অশান্তি হলে তার ছোঁয়া লাগে ভারতে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধিনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। এ সময় দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন আর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা দেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্স আমদানিকারকের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিকারক ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জেড আর করপোরেশন। ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের যখন মহামারি অবস্থা তখন বাংলাদেশ সরকার ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছে। ভারতও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এমন সম্পর্ক আগামিতে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাস্টমস থেকে খালাস দেওয়া হচ্ছে। ‘দ্রুত যাতে ছাড় হয়, সেজন্য বিশেষ টিম গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।’ বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মনুরুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকায় নেওয়া হবে। পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে এসব উপহার তুলে দেবেন। বন্ধুপ্রতিম ভারত থেকে আগামি মাসে বাদবাকি ৯টি লাইফ সাপোর্ট সম্বলিত উপহারের অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার কথা রয়েছে।