ফের কলকাতার আদালতে তোলা হবে পি কে হালদারকে।

ফের কলকাতার আদালতে তোলা হবে পি কে হালদারকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ মোট ৬ অভিযুক্তকে ৪২ দিনের দীর্ঘ বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন কলকাতার সিবিআই স্পেশাল ৩ আদালত। তাদের আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হবে।

বুধবার (১০ আগস্ট) আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পাতার প্রতিবেদন (অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে ইডির কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হওয়া) জমা দেওয়া হয়।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলা হবে। সেদিন প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা তুলে দেওয়া হবে অভিযুক্তদের হাতে।’

পাশাপাশি জেল হেফাজতে থাকাকালে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায় নি বা নতুন কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয় নি বলেও এদিন জানান ইডির আইনজীবী।

জেল থেকে আদালতে আনার পথে দীর্ঘ যানজটে আসামিদের গাড়ি আটকে পড়ে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়েই দুইপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তাঁদের বক্তব্য শুনে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক জীবন কুমার সাধু। পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আসামিদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত করানো হয়। 

আদালতে প্রবেশের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চান নি পি কে হালদার বা তাঁর সহযোগীরা। এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইডি। ১ শ পাতার ওই অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে কেবল ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ মামলায় ওই ৬ অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁদের দুটি সংস্থারও। 

অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পি কে হালদারের সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।