পহেলা বৈশাখে ঢাবি ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন।

পহেলা বৈশাখে ঢাবি ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে উদ্‌যাপিত হয়েছে। আয়োজনে ছিলো নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি ও আলোচনাসহ নানা অনুষঙ্গ। সকালে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। এসব আয়োজন থেকে পুরোনো দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। এসব আয়োজন ঘিরে বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। তবে সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেঁধে দেওয়া সময় বেলা দুইটা বা তার কাছাকাছি সময়ে শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও বৈশাখের আনন্দ তাতে ম্লান হয় নি। ‘নতুন দিনের সৃজন আলোয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ ক্যাম্পাসের নাটমণ্ডল প্রাঙ্গণে আয়োজন করে বর্ষবরণ উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ ১৪২৯’। মঙ্গলগীত ও নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনটি করেন। এতে অংশ নেন অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীরাও। সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে খেলাঘর ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোল’ শিরোনামে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়। সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের পাশাপাশি এই আয়োজনে একটি আলোচনা পর্বও ছিলো। খেলাঘর কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, খেলাঘর ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান প্রমুখ। এসব অনুষ্ঠান যখন চলছিলো, তখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তার কিছুটা কড়াকড়ি ছিলো। ঘড়ির কাঁটা দুইটার ঘরে যেতেই নিরাপত্তা অনেকটা শিথিল হয়। তবে এর পর থেকেই টিএসসি এলাকায় প্রশাসনের স্থাপিত তথ্যকেন্দ্র থেকে ক্যাম্পাসে আগতদের বিকেল পাঁচটার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে বলা হয়।