প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অধিকতর বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বাসস : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে কৃষি, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, জনগণেরমধ্যে সম্পর্ক এবং পর্যটনের মতো বহু খাতগত সহযোগিতার মাধ্যমে এটি আরও বাড়বে। শ্রীলঙ্কা কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির ঐতিহাসিক সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি যোগ করেন, ‘গত পঞ্চাশ বছর আমাদের অংশীদারিত্বে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করেছে এবং আমি নিশ্চিত যে, আমরা আগামী পঞ্চাশ বছর এবং তারপরেও সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত খুশি যে, শ্রীলঙ্কা আমাদের দু’দেশের অভিন্ন প্রচেষ্টায় বিশ্বস্ত বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে থেকেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সরকার, জনগণ ও আমার নিজের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ‘শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক স্বীকৃতি নতুন উদীয়মান দেশটিকে অনেক মূল্যবান সমর্থন দিয়েছিলো। তখন থেকে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশের ঐতিহাসিক সংযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বহু অভিন্নতা এবং সৎ প্রতিবেশির চেতনার ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধুত্বের বন্ধন উপভোগ করে আসছে।’ প্রধানমন্ত্রী গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথা কৃতজ্ঞতারসঙ্গে স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের দৃঢ়চেতা ও অদম্য জনগণ গত ১৩ বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের অবিশ্বাস্য অভিযাত্রায় শ্রীলঙ্কার অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্য দিই।’ বার্তায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ ও শান্তি এবং শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মৈত্রী দীর্ঘজীবী হোক।’