সাইনবোর্ডে ইউলুপ না দিয়ে ওভারব্রিজ কেনো? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ‘বিষফোঁড়া’ নিয়ে উদ্যোগ নিন

সাইনবোর্ডে ইউলুপ না দিয়ে ওভারব্রিজ কেনো? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ‘বিষফোঁড়া’ নিয়ে উদ্যোগ নিন
সম্পাদকীয় মত, বাংলা কাগজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট এবং দুর্ঘটনা কমাতে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃ্ত্বাধীন সরকার মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করে। পাশাপাশি আরও বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। যারমধ্যে অন্যতম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। সরকারের এমন কার্যক্রমে ঢাকা থেকে বের হতে এবং ঢুকতে যেমন যানজট একদমই শেষ হয়ে যায়; তেমনি মানুষ তাঁর গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হন নির্ভেজালে। কিন্তু সরকারের এমন উদ্যোগ নতুন সৃষ্ট কিছু বিষফোঁড়ার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। আর ওই বিষফোঁড়াগুলো হলো : মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টিকাটুলি (ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের দিকে নামার সময়) অংশে যানজট, সাইনবোর্ড এলাকায় যানজট এবং মদনপুর এলাকায় যানজট। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এই ৩ এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। তাহলে সরকারের উদ্যোগের সফলতা কোথায়? আর সাধারণ মানুষই বা সুফল পাচ্ছে কোথায়? এ অবস্থায় সাইনবোর্ড এবং মদনপুর এলাকায় দ্রুততারসঙ্গে ইউলুপ নির্মাণ করে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকার রিকশাগুলো ফ্লাইওভারে ঠিক শেষ মাথায় এদিকে-সেদিক যেতে না দিয়ে অর্থাৎ এখানে ট্রাফিক সিগন্যাল বন্ধ করে দিয়ে শুধু ফ্লাইওভারে উঠা-নামার ব্যবস্থা রেখে সমাধান করা যায়। ফলে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল ভোগ করতে পারবে মানুষ। এবং যাত্রা হবে ঝক্কিমুক্ত। কিন্তু সাইনবোর্ড এলাকায় শনিবার (১৬ অক্টোবর) চোখে পড়লো নির্মিতব্য ওভারব্রিজ। আর এখানে ইউলুপ না দিয়ে ওভারব্রিজ কেনো? আর ওভারব্রিজটি ইউলুপ নির্মাণে কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না তো! সবমিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অন্য সকল মহাসড়কের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে এ কারণে যে, এ মহাসড়ক দিয়েই আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। সুতরাং দেশের অর্থনীতি এবং জনশক্তি- এ দুই বিষয় বিবেচনা করেই ওই ৩ স্থান নিয়ে উদ্যোগ নিন এখনই।