নোয়াখালীতে মণ্ডপ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে মণ্ডপ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার
ডন প্রতিবেদক, নোয়াখালী : নোয়াখালীর চৌমুহনীতে দুর্গোৎসব চলাকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হারুন অর রশীদ, বেগমগঞ্জের কালিকাপুর গ্রামের হাজী মফিজ উল্যার ছেলে মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৯), আলীপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মো. আবু তালেব (৪৭) ও হাজীপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের ছেলে মো. ফরহাদ (২৭)। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলামের বরাত দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলাকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। ওই সব হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে রবিবার বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে আরও ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’ অপরদিকে, সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, ‘চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর এবং দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে রোববার রাতে উপজেলার সেবারহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, ‘দুর্গাপূজা চলাকালীন বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা এবং লোকজন হতাহতের ঘটনায় মোট ২৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে এজাহার নামীয় ৮৯ জন এবং সন্ধিগ্ধ ৯২ জন রয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে যারা প্রকৃত দোষী, ভিডিও ফুটেজ দেখে শুধু তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। নিরপরাধ লোকজন যেন হয়রানির স্বীকার না হয় পুলিশ সে বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত কাজ সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’