নাশকতার মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ।

নাশকতার মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ।
ডন প্রতিবেদন : রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নাশকতা ছড়ানোর অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন মাদানীর পক্ষে তার আইনজীবী সোহেল মো. ফজলে রাব্বী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত মাদানীর জামিন আবেদন নাকচ করেন। এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক রেজাউল করিম এ চার্জশিট দাখিল করেন। আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি গত বছর ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়- ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মাদানী দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। তার এসব বক্তব্যে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বিভ্রান্ত হয়ে তারা দেশের সম্পদের ক্ষতি করছে। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত বছরের ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। সেখানে অংশ নেন রফিকুল ইসলাম মাদানীও। ওই দিন তাকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। একই বছরের ৭ এপ্রিল ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। পরে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থানার মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকায় দায়ের করা মামলায়ও তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।