দেশে এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন ৮৫৭১টি

দেশে এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন ৮৫৭১টি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : গেলো ২০২১-২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি। ফলে এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ দশ‌মিক ৩২ শতাংশ বা ৩ হাজার ২৯১টি। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিলো ৫ হাজার ২৮০টি।

এমন চিত্র উঠে এসেছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে।

আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানায় সংস্থাটি। সংস্থাটি জানায়, গত অর্থবছরে বেড়েছে ই-কমার্স জালিয়াতি। তবে এ সময়ে বন্ধ করা গেছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি। কিন্তু আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এখনও কর ফাঁকি হচ্ছে বলে মনে করছে বিএফআইইউ। যেখানে গাড়ি আমদানির আড়ালে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেই মনে করছে সংস্থাটি।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিসহ ঝুঁকিপূর্ণ অর্থায়ন বন্ধে কতোটা শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; তা তুলে ধরতেই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএফআইইউ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে মোট ৮ হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে বিএফআইইউ। টাকার অঙ্কে এ লেনদেনের পরিমাণ ২১ লাখ ১১ হাজার ৩ শ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে সন্ত্রাস ও জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে ৮৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বিএফআইইউ।

তবে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তার কোনও তথ্য নেই বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি।