চিনি উৎপাদনে যেতে লাগবে ২ দিন : সাইফুল আলম মাসুদ

চিনি উৎপাদনে যেতে লাগবে ২ দিন : সাইফুল আলম মাসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুইদিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তাঁরা।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেলেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয় নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।

মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকেরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।

উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আমি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিয়ে আসতাম ইম্পোর্ট করে-  এরকম সমস্যা হলে। আমি দেখে গেলাম।

দামে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।

এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করবো। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুইদিন।

তিনি বলেন, আর সমস্যা হবে না। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে যান।

এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২ হাজার ২ শ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়।

রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিলো বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিলো। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওইদিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায় নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেন নি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।