খামারবাড়িতে দুর্গাপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আমরা চোখ-কান খোলা রেখেছি

খামারবাড়িতে দুর্গাপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আমরা চোখ-কান খোলা রেখেছি
ডন প্রতিবেদন : রাজধানির খামারবাড়িতে দুর্গাপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ধর্মীয় উৎসবসহ সকল উৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর। আমরা চোখ-কান খোলা রেখেছি, আমরা সজাগ রয়েছি। কাউকে কোনও ধরনের দুষ্কর্ম করতে আমরা দেবো না। রবিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে অনেক ধরনের জঙ্গির উত্থান হয়েছিলো। সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সেসব এখন নিয়ন্ত্রণে। ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আর উৎসবে অংশ নিতে এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মের কোনও বাধা নেই‌। কারণ আমাদের দেশের মূলমন্ত্র, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ ‘পৃথিবীর সব দেশে শান্তি অব্যাহত থাকুক, কোথাও যেনো জঙ্গির উত্থান না হয়। কোনও জায়গায় যেনো সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেটাই আমরা চাই।’ শারদীয় দুর্গোৎসবের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ পূজা উদ্‌যাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মা দুর্গা দেশ ও জাতির মঙ্গল বয়ে আনুক : বিশ্বের সব সমস্যা দূর করে মা দুর্গা দেশ, জাতি ও বিশ্বের মঙ্গল বয়ে আনুক-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। একই অনুষ্ঠানে রাজধানির খামারবাড়ির পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এ সময়ে আমরা অনেক মহিষাসুরের মুখোমুখি। কোভিড, ঘৃণা, বিদ্বেষ অন্ধকার ঘিরে রয়েছে। এই দুর্গাপূজা এসব নাশ করে দেশ, জাতি, বিশ্বের মঙ্গল করতে উদ্বুদ্ধ করুক। আমাদের ধর্ম-বর্ণ আমাদের পরিচয় মানুষ একে অপরকে আলাদা করতে চাই। কিন্তু শান্তির প্রতীক হিসেবে মা দুর্গা আগমন ঘটে। দুর্গোৎসব হচ্ছে বাংলা খাবার উদ্‌যাপন, সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্‌যাপন। ‘বাংলাদেশ-ভারত আমরা দুই দেশ হলেও আমাদের রক্ত এক। তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং ভারতীয় হাইকমিশনার।