কুমুদিনী হাজংয়ের হাত ধরে হ‌ুমায়ূন আহমেদের হিমু পাঠাগারের যাত্রা শুরু

কুমুদিনী হাজংয়ের হাত ধরে হ‌ুমায়ূন আহমেদের হিমু পাঠাগারের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন; নূর আলম, নেত্রকোণা : নেত্রকোণার পর্যটন শহর সুসঙ্গ দুর্গাপুরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো হ‌ুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি- হিমুর নামে হিমু পাঠাগার। টংক আন্দোলনের বিপ্লবী নারী কুমুদিনী হাজং শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে এই পাঠাগারের শুভ সূচনা করেন।

‘প্রজন্ম আলোকিত হোক অবারিত পাঠে’ স্লোগানকে ধারণ করে মানুষকে বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করবে এই পাঠাগার। এতে রয়েছে আরও কিছু কর্মসূচি। এই পাঠাগার এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা তরুণ সাহিত্যকর্মী মাসুদ রানা।

আনুষ্ঠানিক যাত্রাপর্বের আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাহিত্য জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক জনপদ চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক মামুন রণবীর, শিপন রবি দাস, বিজয় সাহা, শাফায়াত হোসেন, সাদিকুল ইসলাম এবং হ্যাপী হাজং প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিমু পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা। 

এ সময় আলোচকেরা বলেন, প্রচলিত পাঠাগারের বাইরে গিয়ে এটি নতুন ধারণার পাঠাগার। এই সময়ে তরুণদের মধ্যে আত্মজাগরণ প্রয়োজন। বই হোক তরুণদের সারথি।

‘আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগারের বিকল্প নেই। চারপাশে আলোকিত মানুষ চাই। এজন্য বই পড়তে হবে, নিয়মিত চর্চার মধ্যে থাকতে হবে।’

পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক হ‌ুমায়ূন আহমেদের এক অমর সৃষ্টি হিমু। আমার অন্যতম পছন্দের সিরিজ এটি। 

‘এ ছাড়া স্যারের অন্যান্য লেখাও অনেক ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই পাঠাগারটির এমন নামকরণ। এই পাঠাগারে সকল ধরনের বই থাকবে। যে কোনও পাঠক এখান থেকে বই সংগ্রহ করে পড়তে পারবে। আমাদের পাঠের প্রতি বেশি জোর দিতে হবে। হিমু পাঠাগার এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’