এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে উঠে বিশ্বরেকর্ড ৪ বছরের জারার

এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে উঠে বিশ্বরেকর্ড ৪ বছরের জারার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : মাউন্ট এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছানো অনেক সুস্থ-সবল মানুষের জন্যই অসাধ্য ঘটনা। কারণ, সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ওই স্থানটিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা ছাড়াও সব সময় মাইনাস তাপমাত্রা থাকে। মাত্র চার বছর বয়সে সেখানেই পা রেখে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে জারা।

শুধু বিস্ময়ই নয়, এ ঘটনার মাধ্যমে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছার রেকর্ডও গড়েছে সে। চেক প্রজাতন্ত্র ও কানাডার যৌথ নাগরিক জারা অবশ্য একা এই অভিযানে যায় নি। তাঁর বাবা ডেভিড সিফ্রা এবং সাত বছর বয়সী ভাই সাশা জেডও রয়েছে তাঁর সঙ্গে। 

এর আগে সবচেয়ে কম বয়সে বেস ক্যাম্পে আরোহণের রেকর্ডটি ছিলো প্রিশা লোকেশ নিকাজুর। ভারতের মহারাষ্ট্রের থানে জেলার প্রিশা ২০২৩ সালে মাত্র পাঁচ বছর বছর বয়সে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পা রেখেছিলো। 

এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাওয়াসহ এই ভয়ংকর অভিযানটি চ্যালেঞ্জে ভরা। কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও জারার বাবা সতর্কতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, রক্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন পর্যবেক্ষণ এবং ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তবে তীব্র ঠাণ্ডায় জারার কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে তাঁর বড় ভাই সাশা। পোস্টে সে বলেছে, ছোট্ট জারা গরম পানিতে গোসল করতে পছন্দ করে না। বরং গোসলের সময় ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে তাঁর বরফ কিউব চাই। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই ভালো। এমনকি আমাদের দলের অন্যান্য ট্র্যাকারের চেয়েও ভালো। এই ঠাণ্ডায় তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

চেক রিপাবলিক ও কানাডার যৌথ নাগরিক হলেও জারা ও তাঁর ভাইয়ের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা মালয়েশিয়ায়। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে তাঁদের পরিবার। তাঁদের বাবা ডেভিড ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, পুরোপুরি হাঁটতে শেখার পর জারা প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার হাঁটতো। ২০২৩ সালে পুরো বছরে সে ২ হাজার ২ শ কিলোমিটার হেঁটেছে।