এগোচ্ছে জাওয়াদ। গতিবেগ ৮৮ কিমি।

এগোচ্ছে জাওয়াদ। গতিবেগ ৮৮ কিমি।
ডন প্রতিবেদক, কক্সবাজার : বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কক্সবাজারে। জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানি ফুলে কিছুটা উত্তাল থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নান ও ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সবাজার থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে। বর্তমানে এটি কক্সবাজার থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। আর এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি বাংলা কাগজ এবং ডনকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারেরমধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাঁদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত সম্পর্কে ট্যুরিস্ট পুলিশ অবগত রয়েছে। মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্কতাসহ পানি থেকে ওপরে উঠে আসতে বলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বাংলা কাগজ এবং ডনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ মোকাবিলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলার সব আশ্রয়কেন্দ্রকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।