ডন প্রতিবেদন : চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ ২ ওভারের বদৌলতে অবশেষে জয়লাভ করলো রাজস্থান রয়্যালস (আরআর)। এক্ষেত্রে ১৯তম ওভারে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং শেষ ওভারে কার্তিক তিয়াগির ব্যাপক ভালো বলের কারণে এক রকম হারের দ্বারপ্রান্ত থেকেও জিতে গেলো রাজস্থান।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করতে সমর্থ হয় রাজস্থান।
ফলে প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস (পিবিকেএস) ১৮৬ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামে। এক্ষেত্রে কে এল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে চেপে দলটি ১০০ রান করে ফেলে কোনও উইকেট না হারিয়েই। তবে ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে অর্থাৎ ৪৯ রান করে আউট হয়ে যান রাহুল। তবে এরপরও আগারওয়াল ৪৩ বলে ৬৭, অ্যাইডেন মার্করাম ২০ বলে ২৬ এবং নিকলস পুরান ২২ বলে দলকে এনে দেন ৩২ রান। আর দীপক হুদা এবং ফাবিয়ান অ্যালেন কোনও রান করতে সমর্থ হন নি।
বোলিংয়ে রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে ৪ ওভার করে ৩০ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেতান সাকারিয়া ৩ ওভার করে ৩১ রান দিয়ে লাভ করেন একটি উইকেট। আর কার্তিক তিয়াগি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে লাভ করেন ২টি উইকেট। ক্রিস মরিস ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে কোনও উইকেট লাভ করতে পারেন নি। রাহুল তেওয়াতিয়া ৩ ওভার করে ২৩ রান দিয়ে লাভ করে একটি উইকেট।
এ ছাড়া মাহিপাল লমরর ১ ওভার করে ৭ রান দেন এবং রিয়ান পরাগ দেন ১ ওভারে ১৬টি রান।
ব্যাট হাতে রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে ইয়াসাসভি জাসওয়াল ৩৬ বলে করেন ৪৯ রান, মাহিপাল লমরর ১৭ বলে ৪৩ রান, এভিন লেভিস ২১ বলে ৩৬ রান এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ বলে ২৫ রান করতে সমর্থ হন।
পাঞ্জাব কিংসের পক্ষে বল হাতে আরসদিপ সিং ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে লাভ করেন ৫ উইকেট, মোহাম্মদ সামি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে লাভ করেন ৩ উইকেট, ইশান পোরেল ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে লাভ করে একটি উইকেট এবং হারপ্রিত ব্রার ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে লাভ করেন আরও একটি উইকেট।
এ ছাড়া দীপক হুডা ২ ওভারে ৩৭ রান এবং আদিল রাশিদ দেন ৩ ওভারে ৩৫ রান।
খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন অন্যতম ম্যাচ জেতানো কার্তিক তিয়াগি।