সেই রেলকর্তাদের দেখা না পেয়ে ৬ ঘণ্টা পর কমলাপুর ছাড়লেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী!

সেই রেলকর্তাদের দেখা না পেয়ে ৬ ঘণ্টা পর কমলাপুর ছাড়লেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়ে কেনা দেশটা যেনো একটা হাতের মোয়া। যে যেভাবে পারবে দুর্নীতি করে যাবে। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বললেই দোষ, থাকতে দেওয়া হবে না কোথাও, দেওয়া হবে না ঢুকতেও। এমনই তো দেখা গেলো কমলাপুর রেলস্টেশনে। যেখানে রেলওয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাওয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির সঙ্গে একাত্মতা জানাতে গিয়ে রেলস্টেশনেই ঢুকতে পারলেন না বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাফরুল্লাহ সরকারের সমালোচনা করলেও এ বিষয়টি ছিলো তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত। এবং নিজের উদ্যোগেই তিনি রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন। তবুও রেলকর্তাদের সেই যে কী বাহাদুরি! যেনো তাঁদের ‘বাপের’ কেনা সম্পদ এ সরকারি রেলওয়ে। যেনো তাঁরা লুটেপুটে খাবেন, আর কেউ কিছুই বলতে পারবেন না। বললেই বরং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হায় সেলুকাস! হায় বাংলাদেশ! এমন কর্মকর্তাদের রেলস্টেশন থেকে রাস্তায় নামলেই জনগণের রোষানলে পড়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন অনেকেই।

জানা গেছে, রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ৭ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তাঁর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে তাঁকে স্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হয় নি। অথচ কয়েক দফায় এসে রেলকর্তারা ৫ জনের তালিকা নিয়ে যান। দিয়ে যান নানা ফিরিস্তিও। কিন্তু তারপরও জাফরুল্লাহদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। অবশেষে ৬ ঘণ্টা পর বাধ্য হয়ে রাত ১১টায় রেলস্টেশন ছাড়তে বাধ্য হন জাফরুল্লাহ। কারণ তিনি যে অসুস্থ।

আর এ সময়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেখা করতে আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। রাত ৯টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে যান তিনি।