ট্রেন ছাড়ার সময় ঘনিয়ে আসলেই টিকিটের দাম বেড়ে যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রি শুরু করে। এরপর ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসে, ততোই বাড়তে থাকে টিকিটের দাম। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এভাবে টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত একটি চক্র অবশেষে ধরা পড়েছে র্যাবের হাতে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার হোতা সেলিমসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ট্রেনের ৮৮টি টিকিট।
গ্রেপ্তার অপর চারজন হলেন : শাহ আলম, লিটন, আব্দুর রশিদ ফকির ও খোকন মিয়া। সেলিমের বাড়ি বাগেরহাটের উত্তর সরালিয়া গ্রামে, শাহ আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিসপুরের, লিটনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মোল্লাপাড়ায়, রশিদ ফকির বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কুড়িরচরের এবং খোকন মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ছোট গাংগাইলে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, সেলিমের নেতৃত্বে চক্রটি ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করছিলো। তাঁরা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করতো। আবার অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাড়তি দামে বিক্রি করে আসছিলো চক্রটি।