জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য!

জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে টাউনহলে যেতে ডানপাশে থাকা মোহাম্মদপুরের মাঠটির দেয়ালে মাঝেমধ্যেই পোস্টার সাটায় হিযবুত তাহ্‌রীর। তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে যেতে দেয়ালটিতেও পোস্টার সাটানোর চেষ্টা থাকে এ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের। আবার চেষ্টা করে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অলিগলিতে পোস্টার সাটাতে। তবে অধিকাংশ সময়ই তাদের সেসব পোস্টার ছিড়ে ফেলেন সচেতন মানুষেরা।

এই যেমন পোস্টার সাটানোর চেষ্টা, তেমনি হিযবুত তাহ্‌রীরসহ অন্য জঙ্গিরা কিছু জায়গা বেছে নিয়ে, সেগুলোতে তাদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করে।

এক্ষেত্রে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়ে করা আল্লাহর ৯৯ নামের স্থাপনাটির আশেপাশেও তারা অবস্থান করে থাকে। জঙ্গিরা অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে থাকা এরাম বার বা এমন আরও দুয়েকটি বারের সামনে ও আশেপাশে। আবার তাঁরা মাঝেমধ্যে এক-দুইটি লাল গাড়ি ব্যবহার করেও তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, আইএসের (ইসলামিক স্টেট) ওয়েবসাইটের রং ছিলো গাঢ় লাল। আর এই রংয়ের গাড়িই মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে জঙ্গি নেতারা। এক্ষেত্রে তারা তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার অপচেষ্টা করে থাকে।

সূত্র আরও জানায়, দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর তৎপরতার কারণে জঙ্গিদের বর্তমানে তেমন কোনও অবস্থানই নেই। এক্ষেত্রে তারা এখন তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটেই ভুগছে। এমন অবস্থায় তাদের বড় ধরনের কোনও নাশকতা বা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার সক্ষমতাই নেই।

সূত্রমতে, জঙ্গিরা যাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয় বা যারা তাদের নিয়ে কাজ করে; এমন ব্যক্তিদের যাতায়াতে তারা তাদের অবস্থান জানান দিয়ে নিজেদের ‘শক্তিমত্তা’ সম্পর্কেও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। মাঝেমধ্যে পথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিপদে ফেলারও চেষ্টা থাকে তাদের। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সচেতন হওয়ার জন্যই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, বাংলাদেশ সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহাবস্থান। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এবং এটি চলমান থাকবে। এখানে উগ্রবাদি কেউ তাদের অবস্থান কখনোই জানান দিতে পারবে না। কারণ এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমাদের দেশে ধর্ম পালনে কোনও বাধা নেই। তবে মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা বা বোমাবাজি কখনোই মানুষ মেনে নেয় না। তারা প্রতিবাদ করবেই এবং এ ধরনের কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দাঁত উপড়ে ফেলেন সাধারণ জনগণ।

‘সুতরাং আমাদের এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদ কখনোই সুবিধা করতে পারে নি; এবং পারবেও না।’

সার্বিক ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেছেন, জঙ্গিবাদের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোরতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে।